মনিরুল ইসলাম নাবিল
বর্তমানে আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি যন্ত্র হল মোবাইল বা সেল ফোন। প্রায় সবার হাতেই রয়েছে একটি করে সেলফোন। আর যাদের নেই তারাও ব্যবহার নিশ্চয়ই করেছেন। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি হাতের এই ছোট যন্ত্রটি কাজ করে কিভাবে? কেনই বা একে সেলফোন বলা হয়?
মোবাইল ফোনের ধারণা প্রথম আসে ১৯৪৭ সালের দিকে। তারপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এটি পৌঁছেছে বর্তমান পর্যায়ে। মজার বিষয় হল আজ আমরা খুব সহজেই হাতের তালুতে যে যন্ত্রটি নিয়ে ঘুরছি, মাত্র ৩০ বছর আগেও তা একটা অফিসের পুরো একতলা ছাড়া জায়গা হত না। মোবাইল ফোন আসার আগে যাদের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা দরকার ছিল তাদের জন্য অন্য এক রকম ব্যবস্থা ছিল। তাদের গাড়িতে থাকত শক্তিশালী একরকম যন্ত্র। শহরের কোন উচু ভবনে থাকত একটি কেন্দ্রীয় এন্টেনা। সেই এন্টেনা থেকে শক্তিশালী তরঙ্গ শহরের সবদিকে পাঠানো হত। কিন্তু এই ব্যবস্থায় খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এ সুবিধা পেত।
আমাদের বর্তমান যুগে সেলুলার ফোন পদ্ধতিতে সমগ্র শহরকে কতগুলো ছোট ছোট অংশ বা কোষে (সেল) ভাগ করা হয়। প্রতিটি অংশে আলাদা বেস স্টেশন ও এন্টেনা থাকে। এসব এন্টেনা থেকে খুব দুর্বল তরঙ্গ চারদিকে এমনভাবে পাঠানো হয় যেন তা ঐ সেলের বেশি বাইরে যেতে না পারে। ফলে একই চ্যানেল দূরের অন্য কোন সেলেও ব্যবহার সম্ভব হয়। আর তাই একসাথে অনেক লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে অনায়াসে। পুরো শহরকে কোষের বা সেলের মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা হয় বলেই এই ফোনের নাম হয়েছে সেলফোন। প্রকৃতপক্ষে মোবাইল ফোন আর কিছুই না , একটি রেডিও। তবে খুব সূক্ষ্ণ ও দ্বিমুখী রেডিও।
ভালভাবে বোঝার জন্য ওয়াকি-টকির সাথে এর তুলনা করা যেতে পারে। ওয়াকি-টকিতে কথা বলার সময় একই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। ফলে একবারে একজনের বেশি কথা বলতে পারে না। একজন